যেভাবে কলহ-বিবাদ এড়াবেন দাম্পত্য জীবনে

বিয়ের পরে বিভিন্ন কারণে দাম্পত্য জীবনে কলহ-বিবাদ লেগে থাকে। সেটা প্রেম করে বিয়ে হোক অথবা পারিবারিক ভাবে। তবে সংসার জীবনে যেমন সুসময় আছে তেমনি রয়েছে দুঃসময়েরও হাতছানি। বিভিন্ন বিষয়ে দুজনের মধ্যে মতপার্থক্য, পছন্দ-অপছন্দ থাকবে। এগুলো নিয়ে কোন বিতর্কে না জড়িয়ে বরং পাঁচটি কথা একেবারেই এড়িয়ে চলুন যা দাম্পত্য কলহ থেকে আপনার সংসারে শান্তি ফিরিয়ে আনবে। এ সময় বলবেন না যেসব কথা-

১) এটা তোমার ভুল

কখনই নিজের দোষ অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে দিবেন না। এভাবে দোষারোপ করতে থাকলে পরবর্তীতে তা প্রত্যাঘাত হয়ে আপনার কাছেই ফিরে আসবে। একে অন্যকে দোষারোপ করলে সংসারে অশান্তি বাড়ে বৈ, কমে না। তাই সংসারে শান্তি চাইলে এসবঅিন্যকে দোষারোপ করা এড়িয়ে চলাই ভালো। বরং

দুজনে মিলে সমস্যা কীভাবে সমাধান করা যায় তার পথ খুঁজুন। এতে সম্পর্ক মজবুত হওয়ার পাশাপাশি কলহও দূর হবে।

২) ফের তুমি এ কাজ করলে

দম্পতির মধ্যে ঝগড়ার কোনো এক পর্যায়ে অনেকেই আছেন যারা একে অন্যকে এমন কাজের জন্য অভিযোগ করেন যা আসলে তিনি করেননি। উপযুক্ত তথ্য-প্রমাণ ছাড়া শুধু সন্দেহের বশে এ ধরনের অভিযোগ পরাস্পরিক ভুল বোঝাবুঝি ও সন্দেহের সৃষ্টি করে। এতে সংসারে কলহ বাড়ে। কাজেই এসব থেকেও দূরে থাকুন।

৩) আমি ডিভোর্স চাই

একসঙ্গে পথ চলতে ঝগড়া হবেই। কাজেই এটি স্বাভাবিকভাবে নেওয়াই ভালো। অনেকেই আছেন যারা একটু ঝগড়াতেই ডিভোর্স চেয়ে বসে থাকেন।

এ ধরনের মন্তব্য স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটা নেতিবাচক প্রভাব তৈরি করে। তবে একবার যদি বলেই ফেলেন তাহলে আন্তরিকভাবেই ক্ষমা চান। আর প্রতিজ্ঞা করুন মুখে আর কখনও এ ধরনের কথা উচ্চারণ করবেন না। মনে রাখবেন, এ ধরনের কথাবার্তাই কিন্তু দুজনের মধ্যে অবিশ্বাস তৈরির অন্যতম কারণ।

৪) তুমি একটা কাপুরুষ

এ ধরনের কথাবার্তা সঙ্গীকে অনেক বেশি বিচলিত করে। এতে তার মধ্যে এক ধরনের হীনম্মন্যতা তৈরি হয়। সে নিজেকে অন্যের কাছে অনেক ছোট ভাবে। এতে সংসারে অশান্তি বেড়েই যায়। কাজেই এ ধরনের কথা বলা থেকেও বিরত থাকুন।

৫) এখনই আমার কথার উত্তর দাও

বিবাদের সময় এ ধরনের উক্তি ঝগড়া আরও বাড়াতে সাহায্য করে। কাজেই কলহ এড়াতে ঝগড়ার মুহূর্তে এ ধরনের কথা এড়িয়ে চলুন। বরং পরিস্থিতি শান্ত হলে আপনার চিন্তা যুক্তি দিয়ে উপস্থাপন করুন। দেখবেন ধীর-শান্তভাবে চিন্তা করলে সমাধান আসবেই।